Wellcome to National Portal

পল্লী বিদ্যুৎ সংক্রান্ত অভিযোগের জন্য কল করুন ১৬৮৯৯ নম্বরে।

মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ(বিডা) এর ওয়ান স্টপ সার্ভিস লিংকঃ //bidaquickserv.org/

নিয়মিত বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করুন। রকেট, বিকাশ, উপায়, শিওর-ক্যাশ, মাই-ক্যাশ, ইউ-ক্যাশ, রবি-ক্যাশ, জি-পে (গ্রামীণফোন) এর মাধ্যমে ঘরে বসে বাড়তি খরচ ছাড়া আপনার বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে পারবেন। সম্ভাব্য লোডশেডিং এর সিডিউল প্রকাশ করা হয়েছে। জ্বালানি সংকট মোকাবেলায়, সরকারি নির্দেশনা মেনে চলুন। রাত আটটার পর দোকান, শপিং মল, মার্কেট, বিপণিবিতান, কাঁচাবাজার ইত্যাদি বন্ধ রাখুন। এসি ব্যবহার পরিহার করুন। একান্তই এসি ব্যবহার করতে হলে তাপমাত্রা নূন্যতম ২৫ ডিগ্রি সে: রাখুন। সন্ধার সময় হতে রাত ১২টা পর্যন্ত মটর, ইস্ত্রি, ওভেন, সেচ পাম্প, লন্ডী, ওয়েল্ডিং মেশিন/ মেকানিক্যাল ওয়ার্কশপ, ইজি বাইক চার্জিং বন্ধ রাখুন। জরুরি প্রয়োজনে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অভিযোগ কেন্দ্রের মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করুন। বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হোন।


আমাদের অর্জনসমূহ

 

গ্রাম বাংলার আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড তার ৮০ টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মাধ্যমে সারাদেশে এবং দুর্গম নদীর চরাঞ্চলসহ সর্বত্র সর্বমোট ৫ লক্ষ ৩৬ হাজার কিঃ মিঃ লাইন নির্মাণ করে ৩ কোটি ৫৩ লক্ষ গ্রাহকের মাধ্যমে প্রায় ১৩ কোটি জনগনকে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এনেছে। এর ফলে দেশের মানুষ এখন অন্ধকারমুক্ত, “বাংলাদেশ এখন শতভাগ বিদ্যুতের দেশ”। দেশের সকল মানুষ আজ বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত। শতভাগ বিদ্যুতায়নের এই বিশাল কর্মযজ্ঞটি সম্পন্ন করেছে বিদ্যুৎ বিভাগের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড তথা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিসমূহ। আর এই বিশাল অর্জনের জন্যই সরকার বিদ্যুৎ বিভাগকে “স্বাধীনতা পুরস্কার” প্রদান করেছে।

  

উত্তাল পদ্মার চরে গোধুলী লগ্নে যখন সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসে, চারিদিকে ভাগ্যহত চরের মানুষের জীবন যুদ্ধের কোলাহলে যখন থেমে যেত, নিভু নিভু বাতির আলোতে চরবাসী যখন নির্ভার, নিশ্চুপ তখন পল্লী বিদ্যুতের আলোর ফেরীওয়ালার ডাকে ‘‘ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ’’ পাল্টে দিয়েছে অবহেলিত চরবাসীর জীবন। ইতোপূর্বে জেলার ৯টি উপজেলার গ্রীড এলাকায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন করা হলেও জেলার ৪টি উপজেলা যথাক্রমে ফরিদপুর সদর, সদরপুর ও চরভদ্রাসন এবং মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আংশিক এলাকা সমূহ নিয়ে ১০ টি ইউনিয়নের ৮৭ টি গ্রামে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা কাজটি ছিল অত্যন্ত জটিল ও ঝুকিপূর্ণ। তদুপরি আপনারা জেনে খুশি হবেন যে, ৪টি পৃথক সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে পদ্মা নদীর তলদেশ দিয়ে এবং ২টি ১০ এমভিএ উপকেন্দ্র এবং ৪৩৭ কিঃমিঃ লাইন নির্মাণ করে সর্বমোট ১৩,৬১৩ জন গ্রাহককে সংযোগ প্রদান করা হয়েছে যার মাধ্যমে অফগ্রীড এলাকা সহ জেলার ৯টি উপজেলার সকল এলাকায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন করা সম্ভব হয়েছে।

 

 লাইন নির্মাণ সম্প্রসারণসহ ব্যাপক অবকাঠামোগত উন্নয়ন কার্যক্রম তরান্বিত হয়। ২০০৮ সাল পর্যন্ত এ সমিতির আওতায় মাত্র ২টি ৩৩ কেভি, ১৯টি ১১ কেভি লাইন ও ৪টি ৩৩/১১ কেভি উপকেন্দ্রের মাত্র ৩৫ এমভিএ ক্ষমতার উপকেন্দ্রের মাধ্যমে ৮৫,২৫২ জন গ্রাহককে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হত। তদস্থলে বর্তমানে ১২ টি ৩৩ কেভি, ৯৭ টি ১১ কেভি লাইন ও ১৮টি ৩৩/১১ কেভি উপকেন্দ্রের ২৫৫ এমভিএ ক্ষমতার উপকেন্দ্রের মাধ্যমে ৪,৫৭,০৯২ জন গ্রাহককে সংযোগ প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও দীর্ঘদিনের পুরাতন লাইনের তার ও ট্রান্সফরমারের  ক্যাপাসিটি বৃদ্ধির লক্ষ্যে URIDS প্রকল্প ও নিজস্ব জনবল এবং মিনি ঠিকাদারের মাধ্যমে প্রায় ২৬৩২ কিঃ মিঃ লাইনের তার পরিবর্তন ও ১৫১৮ টি ট্রান্সফরমার আপগ্রেডেশন করা হয়েছে যার ফলে বিদ্যুৎ বিতরণ সিস্টেমে গুণগত পরিবর্তন এসেছে এবং সিস্টেম লস ক্রমাগত ভাবে কমে আসছে। এছাড়া কৃষিতে সেচ, ক্ষুদ্র, মাঝারী ও বৃহৎ শিল্পে বিদ্যুৎ সংযোগের ফলে গ্রামীণ জনপদে ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে আর্থসামাজিক উন্নয়ন যেমন ত্বরান্বিত হচ্ছে এবং অনেকটাই বিদ্যুৎ বিভ্রাট বিহীন ভাবে নিরাপদ ও মান সম্পন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে। একইসঙ্গে পবিসের কারিগরী অবকাঠামো বৃদ্ধির সাথে সঙ্গতি রেখে নতুন করে জোনাল, সাব জোনাল ও অভিযোগ কেন্দ্র প্রভৃতি অফিসের সংখ্যা বৃদ্ধি ও প্রয়োজনীয় দক্ষ জনবল নিয়োগ করা হয়েছে। এছাড়াও পবিস কমপ্লেক্সের প্রবেশদ্বারে “বিজয় তোরণ” নির্মাণসহ বহুমাত্রিক ও বৈচিত্র্যমন্ডিত শোভাবর্ধন ও মনোমুগ্ধকর কর্ম পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছে। ফলে পূর্বের যে কোন সময়ের তুলনায় গ্রাহক সেবা তথা গ্রাহক সন্তুষ্টি ও সমিতির ভাবমূর্তি অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে।

 

 

 

এখন আমাদের লক্ষ্য সবার ঘরে ঘরে নিরবচ্ছিন্ন, মান্সম্মত ও নিরাপদ বিদ্যুৎ সরবরাহ করা। তাই যে কোন প্রতিকুল পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে টেকসই অবকাঠামো নির্মাণ করে বিদ্যমান সিস্টেমের আপগ্রেডেশন কাজ সম্পন্ন করা এবং পর্যায়ক্রমে স্মার্ট মিটার, স্মার্ট গ্রীড ও স্মার্ট সাবস্টেশন তৈরি করে অটোমোশন সিস্টেমের লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে। সর্বোপরি দ্রুত সেবা প্রদানের লক্ষ্যে “কল সেন্টার-১৬৮৯৯” চালু করা হয়েছে। ৪০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নে ৬০ হাজার মেঃ ওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সাথে সংগতি রেখে আধুনিক প্রযুক্তিমানের টেকসই বিদ্যুৎ ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য আমরা প্রস্তুতি গ্রহণ করছি। একই সঙ্গে সম্মানিত গ্রাহক সদস্যগণের সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে দক্ষ ও সেবামুখী জনবল তৈরীর মাধ্যমে সেবার মান বৃদ্ধির জন্য নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।